খাঁটি মধু কি সত্যিই জমে যায়?
নাকি খাঁটি মধু কখনোই জমে না?
কোন কথাটি সঠিক?
এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে আজকে আপনাদের সাথে আছি আমি মধু বিক্রেতা আলামিন। আমার গবেষণা ও সায়েন্টিফিক ব্যাখ্যা সহ বিস্তারিত আলোচনা করেছি এই আর্টিকেলে। তাই এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ ভালোভাবে পড়লে এবং বুঝলে জমা মধু নিয়ে যত প্রকার সমস্যা আছে, সব সমস্যার সঠিক সমাধান পেয়ে যাবেন ইনশাআল্লাহ।
জমা মধু নিয়ে আমার জীবনের একটি সত্য গল্প
দুঃখজনক হলেও সত্য যে আমি নিজেও একসময় এরকমই ভাবতাম, মধুর নিচেই যদি জমা দেখতে পাওয়া যায় তাহলে সেইটা ভেজাল মধু। একটা সত্য কাহিনী বলি, আমার বড় ভাই একবার মধু কিনে এনেছিলো বাজার থেকে। সরিষা ফুলের মধু। মধু কেনার সময় দোকানদার বলে দিয়েছিল যে সরিষা ফুলের মধু জমে যায়। কিন্তু কে শোনে কার কথা? মধু জমা দেখে আমরা সঙ্গে সঙ্গে ওই মধুটা আবার ফেরত দিয়েছিলাম। কারণ আমরা মধুর নিচে জমা দেখতে পেয়েছিলাম। আর মধু জমা হওয়া মানে তো ভেজাল মধু। এটা তো মুখস্থ বিদ্যা। আমরা কমবেশ সবাই এরকমই বিশ্বাস করি।
যাইহোক আল্লাহর রহমতে এখন আমি খাঁটি মধু নিয়ে কাজ করছি। সাথে সাথে খাঁটি মধু ভেজাল মধু নিয়ে গবেষণা করারও চেষ্টা করছি। তো গবেষণা করতে গিয়ে দেখলাম যে খাটি মধু জমে যাবে এটাই স্বাভাবিক। অনেক ক্ষেত্রে এটাই প্রমাণ হয় যে মধু যদি না জমে তাহলে সেটা ভেজাল মধু। অর্থাৎ সব ফুলের মধু সব সিজেনের মধু জমে যাবে এইটাই মধুর বৈশিষ্ট্য। কারণ মধুর মেইন উপাদান হচ্ছে গ্লুকোজ আর ফ্রুক্টোজ। আর এই গ্লুকোজ ফ্রুক্টোজ এর কারণেই মধুর নিচেই কোনো এক সময় চিনির মতো জমা দেখতে পাওয়া যায়। এব্যাপারে নিচেই আরও বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
মধু জমে গেলে ভেজাল ভাবা হয় কেন?
আমার যেটা মনে হয়েছে সেটা হচ্ছে মধু যখন জমে যায় তখন ওইটা দেখতে একদম চিনির মতো দেখা যায়। চিনি যেমন জমে গেলে যে কালার হয় যে রকম দেখতে লাগে, মধু জমে গেল ওই রকমই দেখা যায়। চিনির মতো সাদা সাদা। এজন্যই সাধারণ’ মধু ক্রেতাগণ স্বাভাবিকভাবে ধরে নেন যে এটা চিনি মিশ্রিত ভেজাল মধু। এজন্যই জমে গেছে।
আরেকটা কুসংস্কার আছে যে অসংখ্য মানুষ জানে খাঁটি মধু কখনোই জমে না, আর যদি জমে যায় তাহলে সেটা ভেজাল মধু। কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে আমরা যে সাদা সাদা অংশটা দেখতে পায় ওইটা হচ্ছে গ্লুকোজ ও ফ্রুক্টোজ সাথে অন্যান্য কিছু উপাদান ও থাকতে পারে। আর এই গ্লুকোজ এবং ফ্রুক্টোজ এর যে চেহারা তা প্রায় চিনির মতো দেখা যায়। এজন্যই সমস্যাটি জটিল আকারে ধারন করেছে।
আমি যেহেতু একজন সচেতন মধু বিক্রেতা এবং পাশাপাশি খাঁটি মধু-ভেজাল মধু নিয়ে গবেষণা করার চেষ্টা করছি, এজন্য আমার কাছে অনেকেই অনেক সময় বিভিন্ন রকমের প্রশ্ন করেন। যেমনঃ সরিষা ফুলের মধু জমে কিনা? লিচু ফুলের মধু জমে কিনা? সুন্দরবনের মধু গুলো কত সময় পরে জমে নাকি জমে না? কোন ফুলের মধু কেমন পরিমাণে জমে? কোন সময় জমে? কতটুকু পরিমাণে? ইত্যাদি বিষয়ে আমার কাছে প্রশ্ন আসে। আমিও আমার গবেষণালব্ধ জ্ঞান দ্বারা ভিডিও বানিয়ে, ব্লগ লিখে ও বিভিন্ন ভাবে সঠিক উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করছি।
জমা মধুর সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে নিচের ভিডিওটি দেখুন
ভিডিওর টাইটেলে যদিও “ধনিয়া ফুলের মধু কি জমে যায়?” দেওয়া আছে, কিন্তু এই ভিডিও তে বাংলাদেশের প্রায় সব ফুলের মধুর ব্যাপারেই বলা হয়েছে। তাই এই ভিডিওটি থেকে মধু জমে যাওয়ার ব্যাপারে অনেক কিছুই জানতে পারবেন। এরকম আরও গুরুত্বপূর্ণ ভিডিও দেখতে আমার ইউটিউব চ্যানেলে অথবা ফেসবুক পেজে ভিজিট করতে পারেন।
জমা মধু নিয়ে এর আগেও আমার এই ওয়েবসাইটে আরও ৩টি পোস্ট করা হয়েছে। চাইলে সেগুলোও দেখে নিতে পারেন। আশাকরি সেখান থেকেও অনেক উপকারী তথ্য পাবেন ইনশাআল্লাহ।
সুন্দরবনের মধু কি জমে?
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কথা এখানে না বললেই নয়! উপরের এই ভিডিও সহ ইতিপূর্বে জমা মধুর উপরে আমি যত ভিডিও বানিয়েছি, প্রায় সব ভিডিওতেই বলেছি যে সুন্দরবনের মধু আমি কখনো জমতে দেখিনি। হ্যাঁ। একথাটি সঠিক। আমি সুন্দরবনের মধু আসলেই জমতে দেখেনি। কিন্তু কিছুদিন আগে এক মধু বিশেষজ্ঞের সাথে কথা হলো আমার। তিনি বললেন যে আমাদের দেশের সুন্দরবনের মধু আমরা সাধারণত জমতে দেখি না। এর কারণ হচ্ছে সুন্দরবনের মধু খুবই পাতলা হয়। পানির পরিমাণ অনেক বেশি থাকে এজন্যই জমতে দেখি না।
নোটঃ কথাটি যুক্তি সংগত কিন্তু আমি পুরোপুরি একমত না। কারণ মধু যদি পাতলা হওয়ার কারণেই যদি না জমে তাহলে তো অন্য কোনো পাতলা মধুও জমার কথা না। আমরা যেটা দেখি, লিচু ফুল বা সরিষা ফুলের মধু যতই পাতলা হোক না কেনো ওই মধু কিন্তু জমে যায়। সুতরাং এটা বলা যেতে পারে, সুন্দরবনের মধু পাতলা হওয়া ছাড়াও আরও কিছু কারণ আছে যার ফলে আমরা জমতে দেখি না।
বিষয়টি আরও ভালোভাবে উদঘাটন করার জন্য ওই মধু বিশেষজ্ঞ উন্নত মানের মেশিন দ্বারা সুন্দরবনের পাতলা মধুকে প্রসেসিং করে ঘন বানিয়েছেন। তারপর ওই মধুটা ফ্রিজে রেখেছেন। এর কিছুদিন পরে দেখেন যে সুন্দরবন মধু জমে গেছে। এখানে আরেকটি বিষয় বলে রাখা ভালো, অন্যান্য সাধারণ মধু যত দ্রুত জমে যায় এবং যে পরিমাণে জমে, সুন্দরবনের মধু তার থেকে বেশি দেরিতে জমেছে এবং কম পরিমাণে।
তাই এখান থেকে আমরা বুঝতে পারি, যদি সুন্দরবনের ঘন মধু হয় তাহলে হয়তো সুন্দরবনের মধুও অন্যান্য মধুর মত কিছুটা জমে জমে যেতে পারে। তবে আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, সুন্দরবনের মধু জমে গেলও সেটা খুবই অল্প পরিমাণে জমবে। কারণ সুন্দরবনের যে আবহাওয়া এবং যে ভৌগলিক অবস্থান তার থেকে এটাই বুঝা যায়।
সবমিলিয়ে এটা মনে রাখতে হবে যে, সাধারণত সুন্দবনের মধু জমতে দেখা যায় না। তবে জমে গেলে সেটাও অস্বাভাবিক কিছু নয়।
মধু জমে যাওয়ার সাইন্টিফিক ব্যাখ্যা
আমি যখন মধুর বিজনেস প্রথম শুরু করি তখন আমি নিজেও এই বিষয়টি নিয়ে বেশ ঝামেলাই পড়তাম। নিজে নিজেই বুঝতে পারলাম যে খাঁটি মধু এবং ভেজাল মধু দুটোই জমে যায়। কিন্তু জানতাম না যে কেন জমে যায়? সাইন্টিফিক ব্যাখ্যা কি? অনেক খোঁজাখুঁজির পরে সরোবর ব্লগে একটি দারুন সমাধান পেয়ে যায়। যেখান থেকে খুব সুন্দর ভাবে জানতে পারলাম যে মধু কেন জমে কি ভাবে জমে ইত্যাদি বিস্তারিত। তাই আপনারাও যদি সাইন্টিফিক ব্যাখ্যা জানতে চান তাহলে নিচের লিংকে ক্লিক করুন।
মধু জমে যায় কেন?
এটা নিয়ে সরোবর খুব সুন্দর একটি সাইন্টিফিক ব্যাখ্যা করেছেন। বিস্তারিত জানতে নিচের বাটনে ক্লিক করুনঃ
উপসংহার
শুধু জমা মধুর উপরেই আমাদের ভুল ধারণা নেই, আছে আরও অনেক বিষয়ে। যেমনঃ মধু খাঁটি না ভেজাল এটা পরিক্ষা করার ব্যাপারেও রয়েছে নানা রকম কুসংস্কর আর ভুল পরিক্ষা। ভুল পরিক্ষার মদ্ধে রয়েছে আগুন পরীক্ষা, পানি পরীক্ষা, চুন পরীক্ষা, ফ্রিজিং পরীক্ষা, পিঁপড়া পরীক্ষা, কুকুর পরীক্ষা ইত্যাদি। অর্থাৎ এই ধরনের যত ঘরোয়া পরীক্ষা আছে আমার গবেষণা মতে সব পরিক্ষায়ই অকার্যকরী।
তাহলে এখন বলতে পারেন, ঘরোয়া পরীক্ষা যদি একটিও কার্যকরি না হয় তাহলে কোন পরীক্ষা দিয়ে মধুর খাঁটি ভেজাল নির্ণয় করবো? এই প্রশ্নের সবচেয়ে সহজ ও সঠিক উত্তর হচ্ছে “ল্যাব টেস্ট” করতে হবে। আসলে দুঃখজনক হলেও এটাই সত্য যে এখনো ল্যাব টেস্ট এর বাইরে বিশেষজ্ঞগণ আর কোনো কার্যকরী পরীক্ষা পায়নি। তবে আমরা পায়নি বলে থেমে আছি তা কিন্তু নয়। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস আমি একটা না একটা ঘরোয়া পরীক্ষা বাহির করবোই ইনশাআল্লাহ। কারণ আমি ইতিমধ্যেই খুব দারুন একটি উপায় পেয়েছি। যেই পরীক্ষা দিয়ে যে কেউ ঘরে বসেই খাঁটি মধু ও ভেজাল চিনতে পারবেন ইনশাআল্লাহ। তবে এই পরীক্ষাটি এখনি শেয়ার করছি না। কারণ পরীক্ষাটি নিয়ে এখনো অনেক গবেষণার দরকার আছে। সাকসেস হলে অবশ্যই আমার সাইট এ শেয়ার করবো ইনশাআল্লাহ। তাই আমার ওয়েবসাইট “খাঁটি মধু ডটকম” এ নিয়মিত ভিজিট করুন।
আজকের আর্টিকেলটি এপর্যন্তই। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
এই দিকে খেয়াল করুন
মধু বিষয়ক যেকোনো কিছু জানতে অথবা খাঁটি মধু কিনতে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন (মোবাইল নাম্বারঃ 01728-338765 অথবা ইমো নাম্বারঃ 01869-663242)। আমি মধু বিক্রেতা আলামিন আপনাদের পাশে আছি সবসময়য় আল্লাহ যতক্ষণ চায়! যোগাযোগ করতে নিচের বাটনে ক্লিক করুনঃ
আপনাদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ। জমা মধু নিয়ে আমাদের মাঝে যে ভুল চিন্তা ছিলো তার সঠিক সমাধান পেলাম।
আশাকরি আপনাদের কাছে খাঁটি মধু পাওয়া যাবে। মধুর কেজি কত এবং কি ভাবে পেতে পারি?
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ। আমরা অত্যন্ত আনন্দিত এই কারণে যে আমরা আপনাদেরকে সঠিক তথ্য জানাতে পারছি এবং সেই তথ্য জেনে আপনারা উপকৃত হচ্ছেন।
# সুন্দরবনের হাতে চাক কাটা মধু
১ কেজি = ১২০০ টাকা
৫০০ গ্রাম = ৬০০ টাকা
# সুন্দরবনের চাষ করা মধু
১ কেজি = ৮০০ টাকা
৫০০ গ্রাম = ৪০০ টাকা
# কালোজিরা ফুলের মধু
১ কেজি = ১২০০ টাকা
৫০০ গ্রাম = ৬০০ টাকা
# লিচু ফুলের মধু
১ কেজি = ৬০০ টাকা
৫০০ গ্রাম = ৩০০ টাকা
# সরিষা ফুলের মধু
১ কেজি = ৫০০ টাকা
৫০০ গ্রাম = ২৫০ টাকা
# ফোনে অর্ডার করুনঃ 01869-663242 / 01728-338765
# ওয়েবসাইটে অর্ডার করুনঃ https://khatimodhu.com/shop/
ভালো একটি তথ্য জানলাম জমা মধু নিয়ে।
আমরা খুশি এই কারনে যে, আপনাদেরকে আমরা সঠিক তথ্য জানিয়ে উপকার করতে পারছি। ধন্যবাদ মামুন ভাই।
ভালো একটি তথ্য জানলাম। আমি আগে জানতাম শুধুমাত্র সরিষা মধু জমে যায়। এখন দেখলাম সব মধুই জমে যায়।
সাকিব ভাই, আপনাকে উপকার করতে পেরে আমরা আনন্দিত। ধন্যবাদ।
আপনাদের তথ্য গুলো দেখে অনেক কিছু জানলাম। আপনাদের কাছ থেকে খাটি মধু কিনতে হলে কি করতে হবে?
# সুন্দরবনের হাতে চাক কাটা মধু
১ কেজি = ১২০০ টাকা
৫০০ গ্রাম = ৬০০ টাকা
# সুন্দরবনের চাষ করা মধু
১ কেজি = ৮০০ টাকা
৫০০ গ্রাম = ৪০০ টাকা
# কালোজিরা ফুলের মধু
১ কেজি = ১২০০ টাকা
৫০০ গ্রাম = ৬০০ টাকা
# লিচু ফুলের মধু
১ কেজি = ৬০০ টাকা
৫০০ গ্রাম = ৩০০ টাকা
# সরিষা ফুলের মধু
১ কেজি = ৫০০ টাকা
৫০০ গ্রাম = ২৫০ টাকা
# ফোনে অর্ডার করুনঃ 01869-663242 / 01728-338765
# ওয়েবসাইটে অর্ডার করুনঃ https://khatimodhu.com/shop/
আমি সুন্দরবনের মধু ৫০০গ্রাম কিনতে চাই
সুন্দরবনের মধু দেওয়া যাবে আগামি এপ্রিল মাস থেকে ইনশাআল্লাহ।
সুন্দরবনের মধু সরিষা ফুলের মধু এগুলো কি একই রকম কাজ করে? নাকি কোনোটা বেশি কাজ করে?
প্রতিটা ভিন্ন ভিন্ন ফুলের মধুতেই আছে আলাদা আলাদা উপকারিতা। তাই একেক ফুলের মধু একেক বিষয়ে বেশি উপকার করে থাকে। এজন্য আমাদের উচিত, যেই সিজনে যেই ফুলের মধু পাওয়া যায় ওই সিজনে ওই ফুলের মধুটা খাওয়াই সবচেয়ে ভালো।
ধন্যবাদ।
আপনার কোন ল্যাব এ মধু পরীক্ষা করেন?
কোনো ল্যাবেই পরীক্ষা করিনা।
ami goto kal 2 kg kin c……… kinar por din e dekhi jome gace……..first a to khub voi paye gacilam………akhon sob kisu jante pere voi kete gace……….
আপনার মধু যদি সরিষা ফুলের মধু হয় তাহলে ঠিক আছে। কারণ আমার অবিজ্ঞতা মতে শীতে নতুন সরিষা মধু কিছুদিনের মধ্যেই জমে সাদা হয়ে যায়। সরিষা মধু উৎপাদন হয় সাধারণত নভেম্বর থেকে জানিয়ারি মাস পর্যন্ত।
কয়েক দিন আগে অর্থাৎ ১৫/১২/২০ তারিখে ৩ কেজি মধু কিনেছি যেটা সম্পূর্ণ জমে সাদা হয়ে গিয়েছে, আবার ০৬/১/২১ তারিখে ঐ একই লোকের কাছ থেকে ৩ কেজি মধু কিনেছি যেটা একটু ও জমে নি।অথচ এখন সরিষার সিজন বলেছে ২ টাই সরিষার মধু এখানে একটা কথা না বললেই নয় সে হলো প্রথম মধু টা সাদা আর পরের টা লালচে রং এর এখন কোন টা খাঁটি আর কোনটা ভেজাল জানালে কৃতঞ্জ থাকব।ধন্যবাদ।
আমার অবিজ্ঞতা মতে শীতে নতুন সরিষা মধু কিছুদিনের মধ্যেই জমে সাদা হয়ে যায়। “১৫/১২/২০” তারিখে কেনা মধু খাঁটি আছে বলেই আমার মনে হচ্ছে। অপরদিকে “০৬/১/২১” তারিখে কেনা মধু যদি একেবারেই টাটকা বা নতুন হয় তাহলে জমতে সময় লাগবে আর যদি ভেজাল হয় তাহলে হয়তো জমবে না বা জমলেও সেটা অনেক পরে। কারণ মধু জমতে কিছুদিন সময় লাগে। যেমন ৫ থেকে ১৫ দিন ও লাগতে পারে।